বাউফলে করোনা ক্ষতিগ্রস্থ বাউল শিল্পী মিজান পরিবার। প্রয়োজন ত্রান সহায়তার

বাউফলে করোনা ক্ষতিগ্রস্থ বাউল শিল্পী মিজান পরিবার। প্রয়োজন ত্রান সহায়তার

সাইফুল ইসলাম, বরিশাল লাইভ: বাউফলে করোনা ক্ষতিগ্রস্থ বাউলশিল্পী মিজানের ৯ সদস্য পরিবার। সরকারি  ভাবে ত্রান সহায়তায় অপেক্ষায় দিন গুনছে। লোকচোঁখে মধ্যবিত্ত হিসাবে দেখা গেলেও প্রকৃতি যেন হতো দরিদ্র পরিবার। শিল্পী মিজানের ঘরে গচ্ছিত চাউল শেষ। লোকলজ্জার কারনে যেতে পারছে না অন্যের নিকটে।


বাউফল ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামে। পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থেকে দক্ষিণ দিকে ১ কিলো দূরত্ব মোল্লা বাড়ী। পরিবারটি বাউল শিল্পী হিসাবে পরিচিতি। দু শিশু সন্তান, ভাই-পিতাসহ ৯ সদস্য পরিবার। পরিবারে পিতা-ভাইসহ ৩ জনই বাউল শিল্পী। মিজান মোল্লা, আকাশ মোল্লা ও ইউনুচ মোল্লা। বাউফলে গান পরিবেশন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
করোনায় প্রভাবিত গ্রামাঞ্চলে মানুষের জীবন-যাত্রা নিয়ে সরেজমিন সোমবার দুপুরে কথা হয় বাউল শিল্পী মিজান পরিবার সাথে।

করোনায় ১ মাস পর্যন্ত গান পরিবেশন বন্ধ রয়েছে। গানের পাশাপাশি বাড়তি কাজ হিসাবে স্থানীয় বাজারে কাচা পন্য ব্যবসা করলেও তা রয়েছে নিষিদ্ধ। প্রতিদিনের উপার্জন টাকা দিয়ে সংসার চললেও গত ১ মাস থেকে আয়ের কোন পথ নেই। প্রাথমিক ভাবে ধার দেনা করে সংসার চালালে গত সপ্তাহ ধরে অসহায় হয়ে পড়েছে।

শিল্পী মিজানের পিতা সত্তোর্ধ বয়সী ইউনুচ মোল্লা জানান, সাবেক ্ইউপি সদস্য। ১৯৮৪ সালে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এলাকায় সুধী হিসাবে পরিচিতি হলেও অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক। নিজস্ব চাষাবাদ জমি নেই। সরকারি ভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বয়স্ক ভাতা নাম থাকলে ৮ মাস পূর্বে এ ভাতা পেয়েছে। আক্ষেপ করে ইউনুচ মোল্লা জানালেন, ত্রান সামগ্রি পাওয়া অধিকার থাকলেও বর্তমান চেয়ারম্যান মেম্বার নিটে বলতে পারি না ?
করোনা ভাইরাস ষ্টে হোম কথা বলতে গিয়ে শিল্পী মিজান বেহলা হাতে নিয়ে পরিবাওে সবাই একই কন্ঠে বলেন, আমি বন্ধী কারাগারে। আছি গোঁ মা বিপদে। বাইরে আলো চোখে পড়ে না।
আমি বাউফল শিল্পী হিসাবে সাধারন মানুষ সচেতন উদ্ধুদ্ব করে থাকি। এ মুহুর্তে আমার পরিবারে আর্থিক সহায়তা করার কেউ নেই। সাংবাদিক লেখনির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি পরবে। অবশ্যই আমার পরিবারকে  সহযোগিতা করবে। আপেক্ষায় রইলাম.....